দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এটি আগামীকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সংস্থাটি জানায়, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও রাঙামাটি জেলার উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামীকাল মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আগামী বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আগামী বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
আগামী শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
এছাড়া আগামী পাঁচদিনে বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, “বঙ্গোপসাগরে লঘু চাপ সৃষ্টির প্রবল আশংকা দেখা দেওয়ায় কক্সবাজার জেলার লবণ চাষিদের জন্য পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে যে, জমিতে যদি তুলে ফেলার মতো কোনো লবণ থেকে থাকে তবে তা আগামীকাল বুধবার (৯ এপ্রিল) এর মধ্যে তুলে ফেললে কিংবা জড়ো করে রাখলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম থাকবে।”
এছাড়া সমুদ্র-গামী জেলেদের জন্য পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলার সমুদ্র-গামী জেলেদের জন্য পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে যে, আগামী ১০ ও ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলার উপকূলে সমুদ্র খুবই উত্তাল থাকার প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে। ফলে এই দুই জেলার সমুদ্রে অবস্থানরত মাছ ধরা ট্রলারগুলোকে আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে দ্রুত উপকূলে ফেরার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। আগামী ১০ই এপ্রিল বৃহপতিবার ও ১১ই এপ্রিল শুক্রবার কক্সবাজার জেলার উপকূলবর্তী সমুদ্রে মাছ ধরা থেকে সম্পূর্ণ রূপে বিরত থাকারও পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।”