উখিয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যাপীঠের ১৩ পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্র না পাওয়ায় গত ১০ এপ্রিল থেকে অনুষ্ঠিত চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
স্থানীয় প্রশাসন, দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সময়োপযোগী হস্তক্ষেপের কারণে অবশেষে তারা চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। ফলে পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও পাড়া প্রতিবেশীর মাঝে বাধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ– যথাসময়ে রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণের ফি জমা দেওয়া হলেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে সে ফরম যথাযথভাবে বোর্ডে জমা না দেওয়ায় এই দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। পরীক্ষার দিন সকালে প্রবেশপত্র দেওয়ার কথা থাকলেও, পরীক্ষার্থীরা বিদ্যালয় বন্ধ পাওয়ায়, প্রবেশপত্রের অভাবে পরীক্ষা দিতে না পারায় পরীক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। উত্তেজিত হয়ে অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের গেট ভাঙচুর, উখিয়া টেকনাফের সড়ক অবরোধ করে রাখে। পুলিশ প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইউনুসকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। অবশেষে, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড মানবিক বিবেচনায় এই শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও দেখুন উখিয়ায় এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র না পেয়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
উখিয়া উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, “হলদিয়া পালং আদর্শ বিদ্যাপীঠের ১৩ শিক্ষার্থীকে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়েছে। তারা আজ থেকে পরীক্ষা দিতে পারবে। তবে যে একটি বিষয়ের পরীক্ষা ইতোমধ্যে হয়ে গেছে, সেটি পরবর্তীতে, আগামী বছর পুনরায় দিতে হবে। আমরা আশা করছি, তারা বাকি পরীক্ষাগুলো ভালোভাবেই সম্পন্ন করবে।”
শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় ফেরার সুযোগ করে দেওয়ায় অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা আশা করছেন, ভবিষ্যতে এমন গাফিলতির পুনরাবৃত্তি হবে না।
আরও দেখুন : উখিয়ায় শিক্ষকদের অবহেলায় পরীক্ষা দিতে পারছেনা ১৩ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী
এই দুঃখজনক পরিস্থিতি দ্রুত সমাধানে এগিয়ে আসেন উখিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সরওয়ার জাহান চৌধুরী, উপজেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরী। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে ধারাবাহিক যোগাযোগ ও চেষ্টার ফলে অনিশ্চয়তায় থাকা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে। তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।