চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাতকড়াসহ পালিয়ে গেছেন রফিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক অস্ত্র মামলার আসামি।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। রফিক কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছড়ার বাসিন্দা এবং একাধিক মামলার আসামি।
এ ঘটনায় দায়িত্বে থাকা দুই পুলিশ কনস্টেবল মামুন ও আব্দুল কাদিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং পলাতক আসামিকে পুনরায় গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ মার্চ কক্সবাজারের মহেশখালী থেকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে রফিককে গ্রেপ্তার করে কোস্ট গার্ড। সেদিনের অভিযানে গুলি বিনিময়ের সময় রফিকের পায়ে গুলি লাগে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি দেশি তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। রফিকের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয় এবং চিকিৎসার জন্য প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
সিএমপির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রফিকের তত্ত্বাবধানে দুইজন কনস্টেবল দায়িত্বে ছিলেন। তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই আসামি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এ কারণে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে, হাতকড়াসহ আসামি পালানোর ঘটনায় পুলিশ বিভাগে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। পলাতক রফিককে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। রফিকের বিরুদ্ধে কক্সবাজারে আরও একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত দুই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও কর্তব্য পালনে গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।