মহেশখালী নৌঘাটে সী-ট্রাক চালু ও পল্টুন স্থাপনকে স্বাগত জানিয়েছেন ড. হামিদুর রহমান আযাদ

অর্থনীতি উপজেলা কক্সবাজার পর্যটন ভ্রমণ
ছবি : সংগৃহীত

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:

অবশেষে কক্সবাজার-মহেশখালী নৌঘাটে পল্টুন স্থাপন ও সী-ট্রাক চালু করায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএ’কে অভিনন্দন জানিয়েছেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য জননেতা ডক্টর. এ.এইচ.এম. হামিদুর রহমান আযাদ।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, “মূল ভুখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন মহেশখালী উপজেলার প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ মানুষ দীর্ঘদিন থেকে মহেশখালী ঘাট পারাপারে প্রভাবশালী মহলের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিল। অপর্যাপ্ত ও অনিরাপদ যাতায়াতের কারণে মহেশখালী-কক্সবাজার নৌঘাটে অনেক প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। পল্টু্ন স্থাপন ও সী-ট্রাক চালু করায় জন দূর্ভোগ কিছুটা লাগব হবে। তবে এটি স্থায়ী সমাধান নয়।”

ডক্টর হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “মহেশখালী, কুতুবদিয়ার মানুষের জান-মাল নিরাপত্তাসহ সাশ্রয়ী, আরামদায়ক ও নিরাপদ যাতায়াতের জন্য মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় নৌঘাটে দ্রুত সময়ে সন্দ্বীপের আদলে ফেরি চলাচল চালু করার জন্য ইতিমধ্যে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা ফওজুল কবিরের সাথে আমি আলাপ করেছি। মাননীয় উপদেষ্টা জনস্বার্থে এ দাবী বাস্তবায়ন করবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।”

ডক্টর হামিদ আযাদ মহেশখালী-কক্সবাজার নৌঘাটের উভয় পাশের অবকাঠামোগত কাজ সম্পন্ন করে দ্রুত সময়ে সন্দ্বীপের আদলে ফেরি চলাচল চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। এদিকে কুতুবদিয়া ও মগনামা অংশে অবকাঠামো নির্মাণ করে দ্রুত ফেরি চালু করার জন্য সরকারের নিকট পুনরায় দাবী জানান।

ডক্টর হামিদুর রহমান আযাদ আরো বলেন, “মহেশখালী-কক্সবাজার যোগাযোগের জন্য সী-ট্রাক, ফেরি চলাচল–সাময়িক সমাধান হতে পারে। তবে টেকসই সমাধান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন থেকে কক্সবাজারের সাথে মহেশখালীর নৌঘাটে সেতু নির্মাণের জন্য মহেশখালীর সর্বস্তরের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। ”

ডক্টর হামিদ আযাদ বলেন, “আমি বড় মহেশখালী নতুন বাজার মাঠে গত ২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এক সভায় দ্রুত ফেরী চলাচল এবং দীর্ঘ মেয়াদে সেতু নির্মাণের দাবী জানিয়েছি। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টার কাছে মহেশখালী-কক্সবাজার নৌঘাটের দুঃখ দুর্দশার কথা পুনরায় ব্যক্ত করেছি। বিগত সরকারের আমলে দেশে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠিত না থাকায় জনগণের দাবি পূরণ হয়নি। ফলে ফ্যাসিস্টের দোসর ও তাদের সহযোগীরা এই ঘাটকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের অধিকার খর্ব করে শুধু নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে।

ডক্টর হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, “বর্তমান অন্তরর্বর্তীকালিন সরকার জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ।”

তিনি আরো বলেন, “আমার এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে । আগামীতে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার মানুষের ভালবাসা ও সহযোগিতা নিয়ে দেশ গড়ার সুযোগ পেলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কক্সবাজার-মহেশখালী নৌঘাটে সেতু নির্মাণ করা হবে ইনশাআল্লাহ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *