সারাদেশে একদিনে বজ্রপাতে প্রাণ গেলো ১৫ জনের

খুলনা বিভাগ গণমাধ্যম চট্টগ্রাম বিভাগ জাতীয় ঢাকা বিভাগ পরিবেশ প্রধান খবর বরিশাল বিভাগ বাংলাদেশ বিশেষ প্রতিবেদন ভ্রমণ ময়মনসিংহ বিভাগ রংপুর বিভাগ রাজশাহী বিভাগ সারাদেশ সিলেট বিভাগ স্বাস্থ্য
প্রতীকী ছবি

অনলাইন ডেস্ক (ডিএনএন):

সারাদেশে গতকাল সোমবার (২৮ এপ্রিল) বজ্রপাতের তাণ্ডব দেখা গেছে। দেশের নয়টি জেলায় এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন। বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার প্রাপ্ত তথ্য থেকে এই হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

কুমিল্লায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এখানে বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন মুরাদনগর উপজেলার দেওরা গ্রামের জুয়েল ভূঁইয়া (৩৫) এবং কোরবানপুর পশ্চিম পাড়া (কালীবাড়ি) গ্রামের নিখিল দেবনাথ (৬০)। এছাড়াও বরুড়া উপজেলার পয়ালগচ্ছ গ্রামের দুই কিশোর মো. ফাহাদ হোসেন (১৩) ও মোহাম্মদ জিহাদ (১৪) বজ্রপাতে মারা গেছে। এই ঘটনায় জুয়েল ভূঁইয়ার ছেলে জুয়েল ভূঁইয়া (৩৫) এবং নিখিল দেবনাথ (৬০) ছাড়াও আরও দুজন আহত হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জে সকালে অষ্টগ্রাম, মিঠামইন ও কটিয়াদিতে বজ্রপাতে চারজনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন কৃষক ও একজন কৃষাণী। তারা হলেন মিঠামইন উপজেলার রাণীগঞ্জ কেওয়ারজোড় এলাকার ফুলেছা বেগম (৬৫), অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুর গ্রামের ইন্দ্রজীত দাস (৩৬) ও খয়েরপুর গ্রামের স্বাধীন মিয়া (১৪) এবং কটিয়াদী উপজেলার ধনকিপাড়া গ্রামের মো. শাহজাহান (৩৮)।

নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলায় মাদরাসায় যাওয়ার পথে বজ্রপাতে আরাফাত মিয়া (১০) নামে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সে তিয়শ্রী গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে।

সুনামগঞ্জের শাল্লায় বজ্রপাতে রিমন তালুকদার (২২) নামে এক কলেজছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুড়িগাঙ্গাল হাওরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। রিমন শাল্লা কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে হাওরে ধান কাটার সময় দুর্বাসা দাস (৩৫) নামে এক কৃষক বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। এ সময় তার ভাই ভূষণ দাস (৩৪), বোন সুধন্য দাস (২৮) এবং একই উপজেলার বায়েজিদ মিয়া (১৩) আহত হয়েছেন।

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে গরুর জন্য ঘাস আনতে গিয়ে সেফালী বেগম (৩৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি সখিপুর ইউনিয়নের বেপারী কান্দি এলাকার সোহরাব হোসেন বেপারীর স্ত্রী।

মাদারীপুরের রাজৈরে ধান কাটার সময় কাজল বাড়ৈ (৪০) নামে এক কৃষক বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন। তিনি বাজিতপুর গ্রামের জ্ঞান বাড়ৈর ছেলে।

যশোরের শার্শায় বিকেলে বজ্রপাতে আমির হোসেন (৪০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। তিনি বেড়ী-নারায়ণপুর গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে।

ঝালকাঠির নলছিটিতে সন্ধ্যায় আসমা আক্তার (২৫) নামে এক নারী বজ্রপাতে মারা গেছেন। তিনি দপদপিয়া ইউনিয়নের উত্তর জুরকাঠি এলাকার রুবেল মাঝির স্ত্রী ছিলেন।

বজ্রপাতের এই আকস্মিক ও ভয়াবহতায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে নিহতদের পরিবার ও এলাকায়। আহতদের চিকিৎসা চলছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় সংশ্লিষ্ট এলাকার জনসাধারণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *