কক্সবাজারের সুগন্ধা বিচ পয়েন্ট এলাকায় র্যাব-১৫ এবং র্যাব-৬ এর যৌথ অভিযানে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি আদায় চক্রের মূলহোতা গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় ভিকটিম উদ্ধার হয়েছে। ১। র্যাব-১৫ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন ।
র্যাব-১৫ জানিয়েছেন, ”গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ খুলনা জেলার খালিশপুর থানায় জনৈকা মিতা চৌধুরী (৪২) এজাহার দায়ের করেন যে, তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে আকসা আমজাদ প্রতিদিনের ন্যায় গত ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ খুলনার খালিশপুরস্থ টিএন্ডটি অফিস সংলগ্ন
এলাকায় পড়তে যায়। ঘটনার দিন যথাসময়ে বাড়ি না ফেরায় পরিবার উদ্ধিগ্ন হয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি শুরু করে। এক পর্যায়ে জানতে পারে যে, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাকে মাইক্রোবাসে জোরপূর্বক অপহরণ করে তুলে নিয়ে গেছে। পরবর্তীতে ঘটনার দিন অনুমান রাত ০৯.০০ ঘটিকায় অপহরণকারীর চক্রের মোবাইল থেকে কল দিয়ে ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ টাকা) মুক্তিপণ দাবী এবং অন্যথায় তাদের মেয়েকে ফেরত পাবে না বলে হুমকি দেয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে খুলনা জেলার খালিশপুর থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে (সংশোধনী ২০০৩) একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-০৫ । উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে র্যাব ভিকটিমকে উদ্ধারসহ অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ অনুমান রাত ০২.৩০ ঘটিকার সময় কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন পৌরসভাস্থ সুগন্ধা বিচ পয়েন্ট এলাকায় র্যাব-১৫ এবং র্যাব-৬ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বর্ণিত ঘটনায় অপহৃত ভিকটিম আকসা আমজাদ (১৫), পিতা-আমজাদ আলী, মাতা-মিতা চৌধুরী, সাং-এন/আই-৬০, রোড নং-২২৪, ওয়ার্ড-১০, কনসান স্কুলের উত্তর-পশ্চিম কোন, খালিশপুর, খুলনা’কে উদ্ধার এবং অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি আদায় চক্রের মূলহোতা হামিদুল ইসলাম শাকিল (১৭), পিতা-নূর মোহাম্মদ সরদার, মাতা-হাচিনা, সাং-জব্বর শিকদার কান্দি, কুতুবপুর ইউনিয়ন, থানা-শিবচর, জেলা-মাদারীপুর, বর্তমান ঠিকানা: বাসা-২১২/১, পাটুয়ারীর বাসা, পোস্তখলা বাজার গলি, শ্যামপুর থানা, ঢাকা’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুক্তিপণ আদায়ের লক্ষ্যে ভিকটিমকে জোরপূর্বক অপহরণ করে কক্সবাজার নিয়ে আসে মর্মে গ্রেফতারকৃত অপহরণকারী স্বীকার করে। উদ্ধারকৃত ভিকটিম এবং গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে “।
উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয় র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকার অপরাধ নির্মূলে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে। দায়িত্বাধীন এলাকা কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলায় হত্যা, ধর্ষণ, জঙ্গী, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, জলদস্যু, ডাকাত, চুরি-ছিনতাই, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক, অপহরণ ও দেশে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।