কুতুবদিয়া ডাক — আমরা কি শুনবো না?
কুতুবদিয়া আমাদের শেকড়, আমাদের আত্মপরিচয়।
এ দ্বীপের প্রতিটি ঢেউ, প্রতিটি মাটির গন্ধে আছে আমাদের পূর্বপুরুষের নিঃশ্বাস।
কিন্তু আজ?
সাগরের ঢেউয়ের তীব্রতা থেকে দুঃখের ফাটল উঠছে ওপরে।
প্রতিদিন সমুদ্রের নোনা জল মুছে দিচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের রেখা।
কারণ একটাই-
টেকসই, স্থায়ী বেড়িবাঁধের অভাব।
নিরাপদ আশ্রয় চাই,
ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা চাই।
২৯ এপ্রিল-
একটি তারিখ, যা রক্তের অক্ষরে লেখা।
১৯৯১ সালে এক রাতেই আমরা হারিয়েছি হাজারো আলো।
সেই কান্নার প্রতিধ্বনি আজও বাতাসে বাজে।
আমরা কি আবার সেই বিভীষিকার পুনরাবৃত্তি চাই?
নাকি এবার ভাগ্য বদলাতে চাই?
আমরা, কুতুবদিয়ার সন্তানেরা দ্বীপশিখার পৃষ্ঠপোষকতায়, এবার দাঁড়াচ্ছি ঢাকায় — রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে।
তারিখ: ২৯ এপ্রিল।
উদ্দেশ্য: বেঁচে থাকা, বাঁচিয়ে রাখা।
আমাদের একটাই দাবি –
স্থায়ী, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই।
এই ডাক আর কেবল একটি দাবি নয়,
এটি অস্তিত্বের লড়াই।
চলো, কণ্ঠ মিলাই।
চলো, কুতুবদিয়ার জন্য ইতিহাস লিখি — নতুন করে।