টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ভারতের বিপক্ষে কানপুরে টেস্টে মাঠে নামার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব। আগামী ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ খেলে সাদা পোশাক তুলে রাখবেন সাকিব। ক্যারিয়ারের শেষ টি-টোয়েন্টি খেলে ফেলেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই। সাকিবের ঘোষণা অনুযায়ী এরই মধ্যে জাতীয় দলের জার্সিতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে আফগানিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচটি ছিল তার শেষ ম্যাচ। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে অবসরের কথা জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টিতে আমি আমার শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছি। মিরপুর টেস্টে (দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে) খেলতে পারলে সেটি হবে আমার শেষ টেস্ট।’
ওয়ানডে ক্রিকেট নিয়ে তাঁর পরিকল্পনা জানতে চাইলে তিনি আগামী বছর পাকিস্তানে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন ট্রফি পর্যন্ত খেলার কথা বলেছেন।
টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কথা বলেন সাকিব, ‘দেখুন, এখন পর্যন্ত আমি তো এভেলেবল। দেশে যেহেতু অনেক পরিস্থিতি আছে, সবকিছু অবশ্যই আমার ওপরে না। আমি বিসিবির সঙ্গে এসব নিয়ে আলোচনা করেছি। তাদেরকে বলা হয়েছে আমার কি পরিকল্পনা। এই সিরিজ আর হোম সিরিজটা আমি ফিল করেছিলাম আমার শেষ সিরিজ হবে, টেস্ট ক্রিকেটে স্পেশালি।’
এ নিয়ে এর মধ্যে বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়ে সাকিব যোগ করেন, ‘এভাবেই ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে ও নির্বাচকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যদি সুযোগ থাকে, আমি যদি দেশে যাই, খেলতে পারি, তাহলে মিরপুর টেস্ট হবে আমার জন্য শেষ। সেই কথাটা বোর্ডের সবার সঙ্গে বলা হয়েছে। তাঁরা চেষ্টা করছেন কিভাবে সুন্দর ভাবে আয়োজন করা যায়।’
দেশে ফেরার আগে নিরাপত্তার ঝুঁকির বিষয়টিও মাথায় আছে সাকিবের, ‘আমি যেন গিয়ে খেলতে পারি এবং নিরাপদ অনুভব করি। যখন দেশের বাইরে আসার দরকার হবে, দেশের বাইরে আসতেও যেন আমার কোন সমস্যা না হয়। বোর্ড খেয়াল করছে। বিষয়গুলোর সঙ্গে যারা জড়িত তাঁরা দেখছেন। তাঁরা হয়তো আমাকে একটা সিদ্ধান্ত দেবে, যেটার ভিত্তিতে আমি দেশে গিয়ে খুব ভালোভাবে খেলে অন্তত টেস্ট ফরম্যাটটা ছাড়তে পারব।’