কুতুবদিয়ার ছাত্র-জনতার দীর্ঘ আন্দোলনের পর অবশেষে কুতুবদিয়া-মগনামা ঘাট পারাপারের ভাড়া পুন:নির্ধারণ করা হয়েছে। স্পিডবোট ভাড়া জনপ্রতি ১২০ টাকা থেকে কমিয়ে ৯০ (নব্বই) টাকা এবং ডেনিশবোট ভাড়া জনপ্রতি ৩০ (ত্রিশ) টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এর স্থানীয় সরকার শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে । জেলা প্রশাসক হিসেবে মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন দায়িত্ব নেওয়ার দ্রুততম সময়ে দীর্ঘদিনের এই সমস্যার নিরসন হল।
“মগনামা-বড়ঘোপ এবং মগনামা-দরবারঘাট আন্ত:উপজেলা ফেরিঘাট/লঞ্চঘাটে যাত্রী পারাপারে নৌযানের যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণ এবং অন্যান্য জরুরি নির্দেশনা” শিরোনামে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে,
উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে পেকুয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলার মগনামা-বড়ঘোপ এবং মগনামা-দরবারঘাট আন্ত:উপজেলা ফেরিঘাট লঞ্চঘাটে যাত্রী পারাপারে নৌযানের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের এবং যাত্রী হয়রানীর বিষয়ে স্থানীয় জনসাধারণের অসন্তোষ এবং তৎসংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণ এবং হয়রানী নিরসনের জন্য গঠিত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে হস্তান্তরিত ফেরিঘাটের ইজারা ও ব্যবস্থাপনা এবং উদ্ভূত আয় বন্টন সম্পর্কে নীতিমালা-২০০৩ এর অনুচ্ছেদ ৩ (ক) এর বিধানমতে যাত্রী কল্যাণ এবং জনস্বার্থ রক্ষায় নিম্নরূপ নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
০১। যাত্রী পারাপারের ক্ষেত্রে স্পিডবোট ভাড়া জনপ্রতি ৯০ (নবাই) টাকা এবং ডেনিশবোট ভাড়া জনপ্রতি ৩০ (ত্রিশ) টাকা নির্ধারণ করা হলো।
০২। যাত্রী পারাপারের নির্ধারিত ভাড়া এবং মালামাল পরিবহনে প্রচলিত মূল্য তালিকা ঘাটের দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে এবং সর্বোচ্চ ১০ কেজি মালামাল বিনামূল্যে পরিবহন করা যাবে।
০৩। প্রতিবার যাত্রায় ডেনিশবোটে সর্বোচ্চ ৪০ জন, বড় স্পিডবোটে সর্বোচ্চ ১২ জন এবং ছোট স্পিডবোটে সর্বোচ্চ ৯ জন যাত্রী পারাপার করা যাবে।
08 । যাত্রী পারাপারের ক্ষেত্রে টিকেট এবং মালামাল পরিবহনে রসিদ পদ্ধতি চালু করতে হবে।
০৫। যাত্রী পারাপারের সুবিধার্থে ডেনিশবোট সকাল ৬.৩০ হতে রাত ৯.০০ ঘটিকা পর্যন্ত প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর ছাড়তে হবে এবং প্রয়োজন সাপেক্ষে স্পিডবোট চালু রাখতে হবে।
০৬। ঘাটের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার স্বার্থে ইজারাদার সিসি ক্যামেরা স্থাপন করবেন।
०৭। যাত্রীদের পারাপারে হয়রানীর ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৮।পারাপারের ক্ষেত্রে দাহ্য পদার্থ এবং যাত্রী একই সাথে পরিবহন করা যাবে না।
০৯। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত নির্ধারিত ভাড়া বৃদ্ধি করা যাবে না।
এদিকে দীর্ঘদিনের চলমান সমস্যার একটি সমাধান হওয়ায় জেরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কুতুবদিয়ার ছাত্র-জনতা।