আজ সকাল থেকে ঘাট পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইজারাদার। কোন পূর্ব ঘোষনা ছাড়া ঘাট লোক পারাপার বন্ধ করে দেওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে রোগীসহ কুতুবদিয়ার হাজারো মানুষ। ভুক্তভোগী মানুষের সাথে কথা বরে জানা যায়, আজ বৃহ:স্পতিবার সকাল ৭টা থেকে কোন ধরনের বোট ছাড়ছে না ইজারাদার কতৃপক্ষ । মানুষজন প্রতিদিনের মত প্রয়োজনের তাগিদে ঘাট পার হতে এসে বিপাকে পড়েন। কেউ আছেন রোগী নিয়ে, কেউ আবার মামলায় হাজিরার গুরুত্বপূর্ণ কাজে। এদিকে প্রশাসনের কেউ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। জানা গেছে এব্যাপারে কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব আকবর খান বিভিন্ন জায়গায় চেষ্টা তদবির করছিলেন বলে জানা গেছ্ । ঘাটের দুর্ভোগ নিয়ে অনেকে ফেসবুকে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করতে দেখা গেছে ।অনেকে জনপ্রতিনিধিদের সমালোচনাও করেন অনেকে। মো ওয়ক্কাস নামে একজন লিখেছেন,
” সকাল ০৭ টার আগেই বড়ঘোপ ঘাটে গিয়ে দেখি পারাপার বন্ধ আছে। মুমূর্ষু রোগী সহ শত শত মানুষ অসহায়। এডিসি রেভিনিও ( ভারপ্রাপ্ত ডিসি) বিভুষণ কান্তি স্যারকে ফোন দিলাম। উনি রাত ৪ টার দিকে ঘুমিয়েছেন। কথা বলতেই পারছেন না। ইউ.এন.ও কুতুবদিয়ার সাথে যোগাযোগ করলাম। উনি অসহায়। এমনকি কোস্ট ট্রাস্টের বোটটিও দিতে অপারগ। ২/১ জন ইজারাদ্বারের সাথে যোগাযোগ করেছি। আসলেই, তারাও কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে বড়ো বিপদে। পরিশেষে ইউনো সাহেব নৌবাহিনীর টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে জানালেন। এমতাবস্থায় নৌ বাহিনীর কন্টিনজেন্ট সহ বিভিন্ন দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে তাৎকালিক সমাধান করার জন্যে কোন নেতা – কেথা পাই নি। একমাত্র আকবর খান ( সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান) নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় সহ বিভিন্ন উচ্চ দপ্তরে যোগাযোগ করে স্থানীয় প্রশাসনকে চাপ প্রয়োগ ও ইজারাদারদের সাথে সমন্বয় করে দ্রুত সুরাহা করার জন্যে সকাল ০৭ টা থেকে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। আবার বড়ঘোপ ও দরবারে আটকা পড়া যাত্রীদের সাথেও যোগাযোগ করে শান্তনা দেন। তবে কুতুবদিয়ার কয়েকজন ছাত্র সমন্বয়ক ঘাটে গিয়ে ছবি তোলেছেন, ভিডিও করেছে এবং প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করতে দেখেছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ( সমন্বয়ক) এবং জনাব আকবর খানের উভয় জগতের সফলতার জন্যে আন্তরিকভাবে দোয়া করি। আমরা অত্যন্ত বিস্মিত হলাম, যারা দ্রুত নির্বাচন করে গদি দখলের চিন্তায় টেনশানে ঘুম হারাম করেছেন, আপনাদের কি জনগণের জন্যে নুন্যতম মায়া মমতা নেই?”
এদিকে কুতুবদিয়ার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ঘাট পারাপারের হয়রানি বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন কুতুবদিয়ার সাধারন মানুষ ।